রাজধানীতে ডিম ও সবজির দাম কমতে শুরু কমলেও এখনও ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে সবকিছু। বাজারে এখনো অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকার ওপরে। ফলে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস চরমে উঠেছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) নগরীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১২০, ঢ্যাঁড়স ৬০ থেকে ৭০, কচুমুখি ৬০ থেকে ৭০, পটল ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০, শিম ২০০, করলা ১২০, পেঁপে ৩০, বরবটি ৮০ থেকে ১২০, টমেটো ১৮০ থেকে ১৯০, ঝিঙে ৬০ থেকে ৮০ এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকায়।
এর আগে গত সপ্তাহে একই বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়। একইভাবে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি বেগুন ১৫০, ঢ্যাঁড়স ১২০ কচুমুখি ৮০, পটল ৮০, ধুন্দল ১০০, শিম ২৫০, করলা ১৫০, বরবটি ১৫০, টমেটো ২২০, ঝিঙে ১২০ এবং লাউ প্রতি পিস বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকায়।
অন্যদিকে ডিমের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজনে দাম কমেছে প্রায় ৫০ টাকা। বর্তমানে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন।
গ্রিনরোড থেকে আসা হুমায়ুন নামের এক ক্রেতা এসেছেন কারওয়ান বাজারে। কথা হলে এই বিক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে দাম আগের মতই। হয়ত ১০ টাকা ১৫ টাকা কমছে। দাম এখনো সাধ্যের বাইরে। কারওয়ান বাজারে একটু দাম কমে জন্য আসি। কিন্তু লাভ হয় না। ওই বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। দাম বেশি হওয়ার কারণে এক দোকান থেকে আরেক দোকান বেশি ঘুরতে হয়। এক ঘণ্টা ধরে বাজারে ঘুরে ঘুরে সবজি কিনলাম, তারপরেও ব্যাগ ভর্তি হয় না।
জয়নুল আবেদীন নামের আরেক ক্রেতা বাজার দর নিয়ে উপহাস করে বলেন, “বাজার দর এখন অনেক সস্তা। পটল কিনলাম প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা। সস্তা তো বটেও। এতো সস্তা হওয়ার কারণে ঘণ্টা ধরে ঘুরছি। তারপরেও ব্যাগ ভর্তি হয় না।”
ক্রেতা কে এম সাখাওয়ান হোসেন বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। সবকিছুর দাম বেশি। দাম কবে কমবে এই আশায় বসে আছি। কে সিন্ডিকেট করছে এটাই বের করা দরকার।
আনোয়ার নামের এক সবজি বিক্রেতা দাম কমার আশ্বাস দিয়ে বলেন, দাম কিছুদিনের মধ্যে কমতে পারে। এখন সবজির সরবরাহ বাড়বে। কারণ শীত আসবে। শীতে সবজি বেশি পাওয়া যায় এটা সকলেই জানে।
শরীফ নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, সবজির দাম গত কয়েকদিনে তুলনায় কমছে। তবে ক্রেতা কম। শুক্রবারে ক্রেতা বেশি হয়, কিন্তু আশা যেটা থাকে তেমন ক্রেতা নেই। গত কয়েকদিন আগে দাম বেশি থাকার কারণে ক্রেতা কম ছিল। এজন্যই হয়ত এখনো ক্রেতা কম।