সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকাস্থ মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী এলাকাবাসী।শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা-আব্দুলাহপুর এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
লুৎফুজ্জামান বাবরের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে তিনি একজন সফল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং তার নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও নিজ জেলায় বহু মানুষকে চাকরিসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেন, যার ফলে তিনি জননন্দিত নেতা হিসেবে পরিচিত হন। কিন্তু তাকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এসব মামলায় বেশ কয়েকটি রায়ে তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বক্তারা।
সাবেক ছাত্র নেতা মো. খালেদ হোসাইন তুহিন বলেন, বিগত সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দিয়ে লুৎফুজ্জামান বাবরকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে । বর্তমান ছাত্রজনতা ও গণ অভ্যুত্থানের ফসল এই সরকারের কাছে আমরা ন্যায় বিচার আশা করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোহনগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাসান, সাবেক ছাত্রনেতা শাহ আলম, মিজানুর রহমান মিজান, অসীম, গোলাম ফারুক তানভীর, উত্তরা থানা ছাত্রদল, যুবদলসহ লুৎফুজ্জামান বাবরের হাজারো কর্মী-সমর্থক ও অনুসারী।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নেত্রকোণা জেলা শহর, মদন, খালিয়াজুরী ও মোহনগঞ্জে লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা ও চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা আছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এসএটি/জেডএম