আওয়ামী সরকারের আমলে হুন্ডির দৌড়াত্মের কারণে প্রবাসী আয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি দেশের সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। সে সময় সরকারের শীর্ষ মহলের সংশ্লিষ্টতা থাকায় যার প্রভাব পড়ে রিজার্ভে। রিজার্ভ বাড়াতে বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা বাড়ানো হলেও প্রবাসী আয় বাড়াতে পারেনি সরকার। তবে সরকার পতনের পর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে প্রবাসী আয়। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় শীর্ষ ১০ দেশের নাম প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবং দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এছাড়াও বাকি দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ইতালি, কুয়েত, ওমান, কাতার ও বাহরাইন।
সোমবার (০৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে দেশে এসেছে ৮৯৩ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
এছাড়াও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৬ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে আরব আমিরাত থেকে। আর সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, ওমান, কাতার ও বাহরাইন থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৭ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার, ৮১ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার, ৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার, ৫৬ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার, ৪৮ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজার, ৪৫ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার, ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ও ২৬ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এসব দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্সের বিবরণ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার, আগস্টে এসেছে ২৯ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ৩৮ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৩ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে এসেছে ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ। সৌদি আরব থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার, আগস্টে এসেছে ২৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ৩১ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার। মালয়েশিয়া থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ৬ লাখ, আগস্টে এসেছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৩ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ১৯ কোটি ৫৬ লাখ। যুক্তরাজ্য থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার, আগস্টে এসেছে ১৭ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২০ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ১৯ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার। ইতালি থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার, আগস্টে এসেছে ১৫ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ১৪ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার। কুয়েত থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার, আগস্টে এসেছে ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ১১ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ১২ কোটি ৭৯ লাখ। ওমান থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার, আগস্টে এসেছে ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ১১ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার। কাতার থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার, আগস্টে এসেছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ৮ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার। বাহরাইন থেকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৭০ লাখ, আগস্টে এসেছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬০ হাজার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ৬ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার, অক্টোবরে এসেছে ৭ কোটি ২৩ লাখ।
এসএটি/এসএইচ