ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাজিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ তারাকী বাবুল।পিতা মৃত নুরুল আমিন। বিএস সি (অনার্স) ২০০৫ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এবং এমএসসি প্লান্ট প্যাথলজি অর্থাৎ উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে ২০০৬ সালে অত্যন্ত সফলতার সাথে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
ফলাফল হওয়ার পরেই ওষুধ কোম্পানিতে কর্মে জড়িয়ে যান। দীর্ঘ চার বছর চাকুরী করার পরে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে চলে আসার পর একটি পরিবেশ বান্ধব নার্সারি গড়ার মনস্থির করেন। তিনি বলেন, যেহেতু আমি উদ্ভিদ বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছি আমার লক্ষ্য এবং আগ্রহ জাগে একটি পরিবেশ বান্ধব বহুমাত্রিক ও দৃষ্টিনন্দন ফলের বাগান এবং বহুমাত্রিক নার্সারি করার।
আমি প্রথমেই আমার ১৫০ শতাংশ জমি অর্থাৎ ১.৫ এ কর জমি অনাবাদি থাকা অবস্থায় গভীর মনোনিবেশ করি। পাশাপাশি বাংলাদেশে এবং ভারত থেকে গাছের চারা এবং বীজ সংগ্রহ করতে শুরু করলাম।
শুরুটা হয় ২০১৫ সাল থেকে। এখন পর্যন্ত আমার নার্সারিতে ২০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে। এ নার্সারি গড়তে এখন পর্যন্ত আমার ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। পাশাপাশি আমার মেধা আর পরিশ্রমের কথা তো বলার উপেক্ষাই রাখে না।
ইতিমধ্যে ফুলপুরকে সবুজ ফুলপুর গড়ার প্রত্যয়ে বিশ হাজার চারা গাছ বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়েছে বিনা পয়সায়। তিনি বলেন, যেহেতু আমি দেড়শ শতাংশ জমির উপরে এমন একটি বহুমাত্রিক নার্সারি গড়ে তুলেছি, সুতরাং সরকারের পক্ষ থেকে সরে জমিনে পরিদর্শন করে আমাকে উৎসাহ, প্রেরণা ও অর্থনৈতিক প্রনোদনা দেন, তাহলে আমি আরো দূর এগিয়ে যাব এবং ফুলপুরকে পরিবেশবান্ধব একটি সবুজ ফুলপুর গড়ার রূপান্তরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করব ইনশাল্লাহ।