বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৬৭৩টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড), রোগ প্রতিরোধক্ষম, বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে চাষোপযোগী জাত এবং ৬৭১টি অন্যান্য উৎপাদন প্রযুক্তিসহ মোট ১,৩৪৪টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।
এ সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে তৈলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজী, মসলা ফলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদশ কৃষি গবেষণা ইনস্টটিউিট (বারি'র) আভ্যন্তরীণ গবষেণা পর্যালোচনা ও র্কমসূচি প্রণয়ন র্কমশালা-২০২৪’ এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মলিনায়তনে কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এসব প্রযুক্তির উপযোগিতা যাচাই বাছাই ও দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কর্মসূচি গ্রহণ করাই কর্মশালার মূল উদ্দশ্যে।
গত ২০২৩-২০২৪ সনে যে সকল গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী ২০২৪-২০২৫ সনে গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
কর্মশালার কারিগরি অধিবিশেনসমূহ আগামী রোববার থেকে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বারির মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
প্রারম্ভকি অনুষ্ঠানে বারির গবেষণা কার্যক্রম ও সাফল্যের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বারির মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) আফসারী খানম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরচিালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ, পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. আবু হেনা ছরোয়ার জাহান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান; পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. এফ এম আবদুর রউফ, পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. মতিয়ার রহমান, পরিচালক (ডাল গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. ছালেহ উদ্দিন এবং পরিচালক (মহাপরিচালক দপ্তর) ড. এম এম কামরুজ্জামান প্রমুখ।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নার্সভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিএডিসি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের র্ঊধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন ।