লঘু নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় ২০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এতে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১০৫ জন জেলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবী।
হাতিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী লুৎফুল্লাহিল নিশান বলেন, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের পাঁচটি ট্রলার ডুবে গেছে। তার মধ্যে চারটি ট্রলারের লোকজন পাওয়া গেছে। এক ট্রলারের প্রায় ২০ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ, আমতলী ঘাটের তিনটি ট্রলার ডুবেছে, সেখানে নিখোঁজ ২৫ জন মাঝিমাল্লা, মোক্তারিয়া স্লুইসের খালের একটি ট্রলার ডুবেছে। তার সব মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুড়িরদোনা ঘাটের পাঁচটি ট্রলার ডুবেছে, তার সব মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সূর্যমুখী ঘাটের একটি ট্রলার ডুবেছে, তার সব মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
লুৎফুল্লাহিল নিশান আরও বলেন, এছাড়াও চারটি ট্রলারের কোনো সন্ধানই পাওয়া যায়নি। সেখানে ৬০ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত ঝোড়ো বাতাস ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে হাতিয়ার মোট ২০টি ট্রলার ডুবে গেছে। অনেকে ট্রলার ডুবির সময় পার্শ্ববর্তী ট্রলারগুলোর সহযোগিতায় কূলে উঠেছেন। এখনো ১০৫ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিল্টন চাকমা বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোয় যে জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কাজ করছে। তিনি আরও বলেন , বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে।
এবিষয়ে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় আমাদের মাঝিমাল্লারা বিপদে পড়েছে এবং ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সহযোগিতায় আমরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে বৈরী আবহাওয়া হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা সেভাবে করা যাচ্ছে না।