নাটোর সদরে ষষ্ঠ শেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পরে ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ গুম করার দায়ে মো. মনির (২৩), মো. সেলিম (২৫) ও মো. শরিফকে (২২) নামে তিন যুবককে ভিন্ন ধারায় ৪৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামীদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি মো. আনিসুর রহমান।
দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. সেলিম হোসেন নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়ার তালতলা এলাকার মো. নুর ইসলামের ছেলে এবং একই এলাকার মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ ও আরশেদ ওরফে হেনতালের ছেলে মো. মনির হোসেন।
মামলার বরাতে আনিসুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়ী থেকে জরুরি কাজে বের হলে সেলিম হোসেন ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে সেলিম হোসেন সহ অন্যান্যদের পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা কোন সহযোগিতা না করে হুমকি ধামকি দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দুই তিনজনে অভিযুক্ত করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিমান্ডে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই শিক্ষার্থীর লাশের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর সদর থানার উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত চন্দ্র পরামানিক, এস এম আবু সাদাদ, এবং মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৮ সালে ২৯ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পরে স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবার পাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।