গাজীপুরে তাঁতী লীগের এক নেতাকে মামলা থেকে বাঁচাতে চাঁদা দাবি করা সেই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দল। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দলটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সূত্রে জানা গেছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে । জাতীয়তাবাদী দল যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
একই বিজ্ঞপ্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলার যুবদলের সহশিল্প বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব আলম, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়জুল হাসান, চট্টগ্রামের চান্দগাঁও যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আজম মাসুম ও যুবদল কর্মী জাসেদুল আলম নওশাদ কে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে গত ২৭ই সেপ্টেম্বর দ্যা সাউথ এশিয়ান টাইমসের অনলাইন ভাগ ভার্সনে (বাংলা) তাঁতী লীগ নেতাকে মামলা থেকে বাঁচাতে যুবদল নেতার চাঁদা দাবি, অডিও ফাঁস শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয় গাজীপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে।
ভাইরাল হওয়া সেই অডিও ক্লিপেশোনা যায়, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা রুবেল সরকার মামলা থেকে বাঁচাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড তাঁতীলীগ নেতার রুবেল মিয়ার কাছে অর্থ দাবি করে বলেন, ‘তোর নাম কাটাইতে কী লাগবে-তুই বুঝিস? আমি এত কথা কইবার চাই না, বিশ হাজার টাকা ইমার্জেন্সি আমার বিকাশ নম্বর আছে এখানে পাঠায় দে। তাড়াতাড়ি পাঠাবি। এখন সবার নাম এন্ট্রি হচ্ছে তাই আমি বাহিরে এসেছি। এ সময় আমি বলছি এটা আমার ছোট ভাই, আমি এটা যা বুঝার বুঝবোনে। তোরা থানায় কাজ করছোস তোরা আমাদের থেকে তিন ধাপ বেশি জানস। তোদের ওপর পুলিশ এখন অনেক ক্ষ্যাপা। কালা শামিম, বুইট্টা রাজু, কেচরা রুবেল সবার নাম লিস্ট। ওগুলো দরকার নাই, তুই আমার ছোট ভাই যদি মানস আরকি।’
এ সময় টাকার বিষয়ে তাঁতী লীগের ওই নেতা যুবদলের নেতাকে বলেন, ‘আমি বাসায় কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি। আমি আরেকটা মামলা নিয়ে আরেক জায়গা টাকা-পয়সা দিছি।’ এদিকে এই কথা শুনে যুবদলের নেতা বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না কোনটা করতে চাস তুই। আমি শুধু তোর জন্য বাহিরে বের হইছি। তাহলে এডা বাদ দে। এই মামলায় কেউ যদি ধরা খায় ৩ বছরের আগে বের হতে পারবে না বলে হুমকিও দিতে সোনা গেছে।