চার বছর দুইমাস ৩ দিন পর খুলনার খালিশপুর হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজছাত্র হাসিবুর রহমান নিয়াজ হত্যা মামলায় ২১ জনের আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক আ. ছালাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের সরকারী আইনজীবী (এপিপি) রোমানা তানহা।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সৈকত, মো. মেহেদী হাসান রাব্বি, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রওশন আনিজি অন্তু, মো. সাজ্জাত হোসেন, ইমদাদুল ইসলাম হৃদয়, মো. আরিফ ওরফে চোরা আরিফ, মো. মুন্না, রফিকুল হাসান শাওন ওরফে আতাং বাবু, মো. সাইফুল, মো. মোস্তাক আহমেদ, মিঠাই হৃদয়, মো. ফাহিম ওরফে কালা ফাহিম, রুবেল, মো. মিজানুর রহমান, সবুজ, মো. ফয়েজুর রহমান আরাফাত, আশিকুর রহমান মোল্লা, রাব্বি ওরফে নাটা রাব্বি, ইয়াসির রাব্বি ওরফে জুয়েল ওরফে নাটা জুয়েল, মো. সাকিব শেখ ও নাঈমুর রহমান ফাহিম।
এছাড়া খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. তুষার, রায়হান, রুনু হওলাদার, নাইম বাবু ওরফে পয়েন্ট বাবু, সালমান।
২০২০ সালের ১৯ আগস্ট হাজী মুহাম্মাদ মুহাসীন কলেজের বিএ প্রথমবর্ষের ছাত্র হাসিবুর রহমান সন্ত্রাসীদের ধারলো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে গত ৩০ নভেম্বর ২০২৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করে থানা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তার মধ্যে একজন শিশু ছিলো। সে আগেই আদালত থেকে বেকসুর খালাস পায়।
নিহত হাসিবুর রহমান হাসিবের পিতা হাবিবুর রহমান বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। ভেবেছিলাম কয়েকজন আসামির ফাঁসি হবে। আমরা হাইকোর্টে আবেদন করবো।
একই কথা বলেন, নিহতের বন্ধু জোবায়ের। তিনি বলেন, খুনের ভিওি, তিন জনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী, পরিকল্পিত হত্যার প্রতিবেদনসহ নানা দিক থাকার পরও আদালত আসামীদের ফাসি আদেশ দেয়নি। ন্যায় বিচারের স্বার্তে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে তিনি জানান।
আদালতের সরকারি কোঁসুলি রোমানা তানহা বলেন, খালিশপুরের চাঞ্চল্যকর হাসিবুর রহমান হত্যা মামলায় দীর্ঘ বিচার কাজ শেষে আদালত রায় দিয়েছেন। রায়ে ৫ জন আসামি খালাস পেয়েছেন। বাকি আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালত অবশ্যই সম্পূর্ণ বিচার করেই রায় দিয়েছেন। কিন্তু আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। আমরা কাগজপত্র তুলবো। মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলে হাইকোর্টে আবেদন করবো।
এসএটি/জেডএম