ঢাকা ওয়াসা ৫ই আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর নবনিযুক্ত সচিব মোহাম্মদ মশিউর রহমান খান একজন দক্ষ ,অভিজ্ঞ এবং কর্ম পারদর্শিতার দৃষ্টান্ত ইতোমধ্যে স্থাপন করেছেন। ২৮ বেচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে ঢাকার ওয়াসার সচিব হিসেবে যোগদান করেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫ই আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন দেশ পেয়েছি, এদেশের তরুণ উদ্যমী ছাত্রসমাজ ও জনতা বিগত ১৫ বছরের ফেস্টিবাদী সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে একটি বৈষম্য বিরোধী নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, এক্ষেত্রে তারুণ্যের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে বৈষম্য বিরোধী একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করা উচিত ছাএ জনতার রক্তের ভিওির উপর দাঁড়িয়ে আজকের প্রশাষন চলছে ।
তাদেরকে অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগ নেই বলে আমি মনে করি। এছাড়াও মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়ের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসায় গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ ফটো গ্যালারী উদ্বোধন করেন , যা আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ঢাকা ওয়াসায় বঞ্চিতদের প্রসঙ্গে বলেন, বঞ্চিতদের লটারি দিয়ে, প্রায়োরিটি দিয়ে এবং তাদের নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্যতম জায়গায় পাঠানো এবং যারা তিন বছরের অধিক একই স্থানে কাজ করছেন তাদেরকে বিবেচনা করে পোস্টিং নির্ধারণ করা হবে, এব্যাপারে আমাদের ওয়াসার বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় যথেষ্ট সতর্ক আছেন।
আমি তার সহযোগিতায় আমার কর্মকাণ্ড এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।ঢাকা ওয়াসায় অভিযুক্তদের প্রসঙ্গে বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে এসেছি, আমি যদি ভাল কাজ করি আমার যারা অফিসার আছেন তারা আমার সামনে ভালো হয়ে দাঁড়াবেন,আমি যদি ভুল করি সবাই বিরক্ত হয়ে বলবে আমরা সচিবকে চাই না, আমি এখানে কারো অনুগত্য করো দয়া নিতে আসি নাই যেটা আইনগত ১০০% সঠিক সেটা করতে এসেছি। আমার লও অফিসারের সাথে প্রতিদিন আলোচনার মাধ্যমে আইন-কানুন সঠিক করে দেই কোথাও ১৯/২০ হলে পরিবর্তন করে দি।
I Will try my best to ensure a free fair administration,তিনি আরো বলেন ,ঢাকা ওয়াসায় মানব সেবার প্রচুর সুযোগ আছে যা আমরা কাজে লাগাবো আমরা পুরো এডমিসটেশন এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি,ঢাকা ওয়াসা কে এশিয়ার বৃহত্তম সেবা প্রদান এবং বেস্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে এবং আমরা আমাদের নিজেদেরকে এর সহযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
ঢাকা ওয়াসা কে নিয়ে আমাদের মিশন একটাই এশিয়ার বেস্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ওয়াসা কাজ করবে। কিন্তু যারা অভিযুক্ত, দুর্নীতিবাজ তারা মোটামুটি একজনও স্বপদে থাকার অবস্থানে নাই। যারা শক্তিশালী ছিল তাদের বদলি করেছি ,তাতে আমি অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছি আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে , অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি তারপরও সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসাকে একটি মডেল হিসাবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।বিগত সময়ের অপশক্তি ও সিন্ডিকেট প্রতিরোধ সম্পর্কে ঢাকা ওয়াসার সচিব বলেন, আমি আমার জায়গায় থেকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশক্রমে আমার সিআরও ,এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক দের সমন্বয়ে আমরা জিরো টলারেন্সের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি।
আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অত্যন্ত ভালো মনের ,ন্যায় পরায়ণ ও সাহসী মানুষ হওয়ার কারণে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ করতে পারছি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে যত কর্মকাণ্ডই হয়েছে তার শতভাগই মনগড়া নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে ইচ্ছামাফিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধ চরিতার্থে জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এর সাথে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ সঙ্গবদ্ধ একটি অপও তৎপরতাকারী শক্তি সম্পৃক্ত ছিল।
যাদের বেশিরভাগদের বিরুদ্ধেই ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করে রেখেছি তার বেতন আছে কিন্তু কোন কাজকর্ম নেই তিনি জনগণের, রাষ্ট্রের যথেষ্ট পরিমাণ বদনাম নিয়ে এসেছেন তার বিকল্প হিসাবে কাজ করানো হচ্ছে।
ঢাকা ওয়াসা কে নিয়ে মানুষের সামগ্রিক বিষয়ে ধ্যান ধারণার পরিবর্তন করতে হবে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করে দিয়েছি যাদের রিপোর্ট অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম ছিল সে বিষয়গুলো আমরা নীতিমালা করে দিয়েছি এবং সামগ্রিক বিষয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী ঢাকা ওয়াসাকে রাজধানী বাসীর সেবায় একটি রোলমডেল হিসেবে গড়ে তুলতে পারব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।