আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের কয়েকটি ব্যাংক দখল করে নিয়েছিল ‘ব্যাংক খেকো’ এস আলম গ্রুপ। গ্রুপটির কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ নামে বেনামে প্রতিষ্ঠান খুলে ঋণ নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। যার সবই এখন খেলাপি ঋণ।
এছাড়াও হাজার হাজার কোটি বিদেশ পাচার করে গড়েছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠলেও আমলে নেয়নি শেখ হাসিনার সরকার। তবে সরকার পতনের পর নড়েচড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য বলছে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে এস আলম গ্রুপ ও এর মালিকদের দেশে-বিদেশে থাকা সম্পদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ)।
বিএফআইইউ'র একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে সম্প্রতি তাদের সাথে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘আমরা এস আলম গ্রুপ ও এর মালিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রস্তুত করছি। সেই তথ্য সিঙ্গাপুরের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
সম্প্রতি গণমাধ্যমে কিছু প্রতিবেদনের পর সিঙ্গাপুরসহ এস আলম গ্রুপের বিদেশি সম্পদ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রুপটি বাংলাদেশের ছয়টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এসব ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারায় তারা। এস আলমের হাতে থাকা ব্যাংকগুলোর বোর্ড পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এসব ব্যাংক থেকে ১ লাখ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।