কৃষি মন্ত্রণালয়ের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) মহাপরিচালক (ডিজি) মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে ছাত্রজনতার রিরুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ফ্যাসিস্টদের দোসর মো. জালাল উদ্দিনসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে অন্যতম মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম, ট্রেনিং অ্যান্ড কমিনিকেশন বিভাগের সদ্য বিদায়ী পিএসও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং ডিজির দপ্তরের সংযুক্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ডিজির প্রত্যক্ষ মদদে এই চক্রটি গত অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় থেকে কয়েক কোটি টাকা লোপাট করেছে। এই চক্রটির বিরুদ্ধে তাদের পছন্দের অফিসারদের বাজেট বাড়িয়ে দিয়ে অধিনস্থ বিভাগীয় কার্যালয় বা গবেষণাগার, আঞ্চলিক কার্যালয় বা গবেষণাগারসহ বিভিন্ন অফিস থেকে নামে-বেনামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে। এছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক সিএসও মো. আব্দুল হালিম ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নিয়োগ পরীক্ষার খাত থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না করেই টাকা গায়েব করে দেন। কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয় না করেই এই খাতের ১০ লাখ টাকা, মুদ্রণ ও বাঁধাই খাতে একটিও উপজেলা নির্দেশিকার বই না ছাপিয়ে ৪৩ লাখ টাকা, প্রধান কার্যালয়ে মাঠে কোন গবেষণার কাজ না করেই ১৬ লাখ টাকা, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি খাত থেকে কোন কিছু ক্রয় না করেই ১৮ লাখ টাকা, গবেষণা সরঞ্জামাদি খাত থেকে ৬৫ লাখ টাকা, কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের নাম করে ১২ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি অর্থবছরে গবেষণাগারের রাসায়নিক দ্রব্যাদি ক্রয়ের নাম দিয়ে নিম্নমানের কিছু রাসায়নিক ক্রয় করে বাকি টাকা লোপাট হয়ে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে উপপরিচালক (প্রশাসন) পদ না থাকলেও ডিজির দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে অবৈধভাবে এই পদে মো. শরিফুল ইসলাম (পাবলিকেশন ও লিয়াজো অফিসার) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, বাজেট ফেরত যেতে পারে তাই আগেই বাজেট উঠিয়ে রাখা হয়েছে এবং ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান। অভিযোগের অনেক তথ্যপ্রমাণই আমাদের হাতে পৌঁছেছে।