অবশেষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ ও অবসরের বয়সসীমা ৬৫ করা হচ্ছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এ বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন চাকরিপ্রাথীরা। অধিকার আদায়ে তারা মানবন্ধন, অবরোধ, ঘেরাও ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু হাসিনার সরকার তাদের কখনও পাত্তা দেয় নাই।
আওয়ামী সরকারের পতনের পর ৩৫ বছর প্রত্যাশীরা ফের মাঠে নামে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন সফল করে সরকারের পতন ঘটিয়েছে ছাত্র-জনতা। তাই চাকরিতে বয়স বৃদ্ধির দাবিও যৌক্তিক। ছাত্র-জনতা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকায় দাবি মেনে নেয়া হবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করে দ্রুত এ দাবির বাস্তবায়ন চাই।
অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দুই মাসের মধ্যেই তাদের দাবি মানা হলো।