চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের উপর যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। পাশাপাশি জড়িতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইবরাহিম এ দাবি জানান।
এসময় নেতৃবৃন্দরা বলেন, ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে যেসব চক্র সক্রিয় রয়েছে, অবিলম্বে এসব চক্রের হোতাদেত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
শিবিরের নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাস মুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টা ৪৫ মিনিটে স্টেশনে দোকান ভাঙচুর এবং জিরো পয়েন্টে গুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় স্থানীয় ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবাইকে জিরো পয়েন্টে জড়ো হওয়ার আহবান জানায়। পরে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল ক্রসিংয়ের দিকে এগিয়ে যায় তারা।
এসময় স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে গুজব ছড়িয়ে এলাকাবাসীদের জড়ো হতে বলে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। পরে ৩জন পুলিশ সদস্য রেল ক্রসিংয়ের দিকে এসে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বলেন। আশ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা ফিরে যেতে শুরু করলে পিছন দিক দিয়ে রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের প্রায় ৪০-৫০ জন ক্যাডার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে প্রায় ৫জন আহত হয়।
নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, যুবলীগ সন্ত্রাসী হানিফ গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ৫ই আগষ্ট রাতেও রেলক্রসিং এলাকায় হানিফ গ্যাংয়ের নেতৃত্বে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয় শিক্ষার্থীদের। এছাড়া ব্যবসার আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ পাচার, ও বাস সিন্ডিকেটের কলকাঠি নাড়ে সন্ত্রাসী হানিফ।
বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ক্যাম্পাসসহ আশেপাশে এলাকাগুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করার জোর দাবি জানান শিবির নেতারা। এছাড়াও হামলায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
এসএটি/এসএইচ