রাজধানীর কেরাণীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামছেন জবি শিক্ষার্থীরা। আগামী সোমবার থেকে এ আন্দোলন শুরু করবেন তারা।
বৃহষ্পতিবার (৩১ অক্টোবর) শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে৷
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
১. স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর ঘোষণা, হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রদান এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হলের কাজ শুরু করা।
৩. অবিলম্বে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর খান বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভূমিঅধিগ্রহণ ছয় বছরেও আমরা সম্পন্ন করতে পারি নি অথচ এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাজ দ্রুতিকরণ ও দূনীর্তি দূরীকরণের লক্ষ্যে আমরা অতিদ্রুত সেনাবাহিনীর হাতে ক্যাম্পাসের কাজের হস্তান্তর চাই।
আরেক শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের মেয়াদ ছয় বছর হয়ে গেলেও এখনো ভূমি অধিগ্রহণের কাজই শেষ হয় নাই!সরকার পরিবর্তন হলেও এসব কাজে জড়িত যে কর্মকর্তা ছিলেন তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। তাছাড়া নতুন ভিসি আসার পরেও দ্রুত কাজ শুরুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ দেখি নাই।এই জন্য আমরা মনে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে গেলে দ্রুতই ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ২০০ একর জমিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর সাত বছর পার হলেও কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। দ্রুত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীর নিকট কাজ হস্তান্তরের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এসএটি/এসএইচ