মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননজুড়ে একযোগে ‘পেজার’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯ জন নিহত এবং দুই হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে পেজার বিস্ফোরণ হয়েছে। এটি মূলত ছোট এক ধরনের যন্ত্র যা দেশটির প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর সদস্যরা যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। নিহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে ইরানের লেবানন রাষ্ট্রদূতও রয়েছেন। তারা বৈরুত এবং অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলে একযোগে বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তাদের বিভিন্ন ইউনিট ও প্রতিষ্ঠান পেজার ব্যবহার করে থাকে। এ ছাড়া তারা আটজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন স্থানে এ বিস্ফোরণকে অপরাধমূলক আগ্রাসন উল্লেখ করে এর জন্য তারা ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠোর প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়া জানান, নিহতদের মধ্যে আট বছরের এক মেয়ে শিশু রয়েছে। এছাড়া আহতদের মধ্যে ২০০ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বেশিরভাগ মুখমণ্ডল, হাত ও পাকস্থলীতে আঘাত পেয়েছেন।
আলজাজিরার বৈরুথ প্রতিনিধি জেইনা খদর জানান, হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ কয়েক মাস আগে যোদ্ধাদের জন্য স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করেন।ইসরায়েলের হাতে এসব স্মার্ট ফোনে অনুপ্রবেশের প্রযুক্তি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা প্রধানের ওই আদেশের পর থেকে পেজার ব্যবহার করতেন। এ বিস্ফোরণের পর ডিভাইসগুলো বাহির থেকে কোনো পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলে মনে করেন খদর।