শর্তসাপেক্ষে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। লেবাননে ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলার মধ্যে এই ঘোষণা দিলেন হিজবুল্লাহ প্রধান।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) এ ঘোষণা দেন হিজবুল্লাহর নতুন নেতা নাইম কাসেম।
হিজবুল্লাহর নতুন নেতা বলেন, বিপর্যস্ত লেবানিজ আন্দোলন নির্দিষ্ট শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে। কারণ ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর দুর্গে বোমাবর্ষণ জোরদার করেছে।
নাইম কাসেমের বিবৃতিটি দেয়া হলো এমন সময়ে যখন ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করছে। যদিও ইসরাইল পূর্ব লেবাননের বালবেক শহরে আক্রমণ করেছে এবং হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর আরেক সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যা করার দাবি করছে।
এর আগে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি জানিয়েছেন, তিনি আগামী কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আশাবাদী।
লেবাননের সম্প্রচারকারী টেলিভিশন আল-জাদেদের সঙ্গে কথা বলার সময়, মিকাতি বলেছিলেন যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমোস হোচস্টেইন জানিয়েছেন ‘সম্ভবত আমরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নভেম্বরের ৫ তারিখের আগে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে পারি।’
গত মাসে ইসরাইলের বিমান হামলায় তার পূর্বসূরি হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর মঙ্গলবার কাসেম ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র আন্দোলনের নেতা হন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম বক্তৃতায় তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ কয়েক মাস ধরে লেবাননে চলা ইসরাইলের বিমান ও স্থল হামলার প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে। তবে একই সঙ্গে ইসরাইলের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তির দরজাও খোলা রাখেন নাইম।
তিনি বলেন, যদি ইসরাইলিরা সিদ্ধান্ত নেন যে তারা লেবাননে আগ্রাসন বন্ধ করতে চায়, তাহলে আমরা তা মেনে নেব, কিন্তু কয়েকটি শর্তের অধীনে যে শর্তগুলোকে আমরা যথাযথ ও উপযুক্ত মনে করি। হিজবুল্লাহ এখনও বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রস্তাব পায়নি বলেও জানান কাসেম।
এদিকে ইসরাইলের জ্বালানি মন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে তারা কী শর্ত দিতে পারে তা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করছে তাদের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
ইসরাইলের চ্যানেল ১২ অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরাইলের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
এর মধ্যে রয়েছে হিজবুল্লাহকে লিতানি নদীর উত্তরে ইসরাইলের সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে সরানো এবং লেবাননের রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সীমান্তে মোতায়েন করা।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রক্রিয়া থাকবে তবে ইসরাইল দাবি করেছে যে, তাদের ওপর হুমকি আসলে তাদের হামলা চালানোর স্বাধীনতা দিতে হবে। সূত্র: এনডিটিভি
এসএটি/এসএইচ