স্পেনে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮ পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজদের সন্ধান করছে দেশটির উদ্ধারকারী দল। চলমান পরিস্থিতিকে পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় বন্যা ভাবা হচ্ছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। স্পেনের মন্ত্রী অ্যাঞ্জেল ভিক্টর টোরেস বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১৫৮ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে এবং এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে। সেখানে অন্তত ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভয়ঙ্কর জলোচ্ছ্বাসে এলাকাজুড়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, গাড়িগুলো পরস্পরের ওপর ভেঙে পড়েছে, গাছপালা উপড়ে গেছে, বিদ্যুতের লাইন ভেঙে গেছে এবং মাটিতে আটকে পড়েছে ঘরের বিভিন্ন সামগ্রী।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হলো মৃতদেহ এবং নিখোঁজদের সন্ধান করা। যাতে তাদের পরিবারের দুঃখ লাঘব করা যায়।
পেদ্রো সানচেজ বৃহস্পতিবার ভ্যালেন্সিয়ায় জরুরি পরিষেবা এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ করেছেন।
তবে বিজ্ঞানীরা এই ভয়াবহ ঘটনার কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। স্পেনে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ও খরার পাশাপাশি ভূমধ্যসাগরের পানির উচ্চ তাপমাত্রাও এই দুর্যোগের পেছনে একটি কারণ বলে ভাবা হয়।
এসএটি/আরএইচ