
দেশের অর্থনীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি বিভাগের সাধারণ সম্পাদক। নানা সময় সরকারের কাছে বাজেটবিষয়ক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন তিনি। পোশাক খাতের চলমান অস্থিরতা ও অর্থনীতির প্রভাব নিয়ে দ্য সাউথ এশিয়ান টাইমসের সাথে কথা বলেছেন এই অর্থনীতিবিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. মির হোসেন সরকার।
দ্য সাউথ এশিয়ান টাইমস : দেশে কোনো সংকট তৈরি হলেই এর সরাসরি প্রভাব পড়ে পোশাক শিল্পে, কিন্তু কেন?
অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম : অর্থনীতির জীবন পোশাক খাত। কোনো ধরনের সংকট সৃষ্টি হলেই এর প্রভাব পড়ে পোশাক শিল্পে। এর অন্যতম কারণ, এ খাত শ্রমিক নির্ভর। পোশাক খাতে আক্রমণ করলেই অর্থনীতিতে বড় সমস্যা তৈরি করা যায়। তাই এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় অনেকেই। তবে এখানে বাইরের দেশে হাত থাকতে পারে। কারণ, বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এ খাতের সুবিধা অন্য দেশ নিতে চাবে; এটাই স্বাভাবিক।
দ্য সাউথ এশিয়ান টাইমস : এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের পথ কি?
অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম : পোশাক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অতি জরুরি। আমরা যে মূহুর্তে এই সমস্যার কথাগুলো বলছি, এই মূহুর্ত থেকেও একটা সমাধানের পথ খোঁজা দরকার। এতদিন আমরা বিদেশি গ্রাহকদের প্রতি অনেক আস্থা তৈরি করেছি। সেই আস্থার পরিবর্তে যদি একবার তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কষ্ট তৈরি হবে। আমি একটা কথা বার বার বলি- এ দেশ আমাদের, অর্থনীতি আমাদের। তাই দেশ নিয়ে সবাইকে চিন্তা করা দরকার। পোশাক খাতে ক্ষতি হলে সেটা কোনো বিশেষ শ্রেণীর ক্ষতি হবে না। সেটা পুরো দেশের ক্ষতি হবে।
দ্য সাউথ এশিয়ান টাইমস : পোশাক খাতে সরকারি প্রণোদনা স্বল্প। এই স্বল্প প্রণোদনা দিয়ে এই সময়েরর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব কি?
অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম : পোশাক খাতে সরকারি স্বল্প প্রণোদনা রয়েছে। সংকটময় এ সময়ে এই প্রণোদনা দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব কি-না সেটা বলা যাচ্ছে না। কারণ, কোভিড-১৯ এর সময়ে কিন্তু সরকারি প্রণোদনা দিয়েই সে সময় ক্ষতিটা পুষিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সে সময় আমরা খুব বেশি সমস্যায় পড়িনি। প্রণোদনার অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। তবে আমি মনে করি, অন্তবর্তী সরকারকে পোশাক খাতের এই সংকটময় সময়ে প্রণোদনার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার।