রাজধানীর রামপুরায় ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বেসরকারি চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় মামলার এক নম্বর আসামি আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক বিএনপির প্রভাবশালী নেতা শেখ রবিউল আলম রবিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. রুহুল কবির খান এ তথ্য জানান।
মো. রুহুল কবির বলেন, ‘তানজিল জাহান ইসলাম তামিম খুনের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর ভেভেলপার কোম্পানির মালিক বিএনপির প্রভাবশালী নেতা শেখ রবিউল আলম রবি রবিউল এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘তামিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জনের নামে মামলা করেছে পরিবার। এরইমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিউল আলম রবি এ মামলার আসামি। তাকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান এবং প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করছি শিগগিরই বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করতে পারব।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় দেখছি না। আমরা অপরাধ ও অপরাধী হিসেবে দেখছি। সে যে ই হোক, তার দায় থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট দেব। আমরা প্রাথমিকভাবে তার সম্পৃক্ততা পাচ্ছি। এই ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল তা তদন্তে উঠে আসবে। এছাড়া, মাদকের ওই কর্মকর্তাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। আমরা তার সম্পৃক্ততার বিষয় তদন্ত করে দেখব।’
রুহুল কবির বলেন, ‘ডেভেলপার জমির মালিককে ফ্ল্যাটটি বুঝিয়ে দেওয়ার পরেও তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয়। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে জমির মালিক ভবনের সাত তলায় নিজের ফ্ল্যাটে কাজ করতে যায়। মামুনের সহযোগিতায় ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল লতিফসহ ২০ থেকে ২৫ জনকে নিয়ে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা ও জমির মালিকের ছেলে তানজিল জাহান ইসলাম তামিমের ওপর হামলা করে। আহত অবস্থায় তামিমকে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এসএটি/আরএইচ