হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশেই অবস্থিত প্রিয়াংকা হাউজিং সিটি। এ হাউজিং সিটির ৬ ভবন ফ্লাইট ওঠানামায় ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, অনুমোদনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতর এসব ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যা রানওয়ের পাশে এসব ভবন হওয়ায় ফ্লাইট ওঠানামায় ঝুঁকি তৈরি করছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার। তিনি ভবনগুলো অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। বিষয়টি অবগত করে বেবিচকের পরিচালককে (সিএনএস) পাঠানো এক চিঠিতে বেবিচক চেয়ারম্যান এগুলো অপসারণে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
এছাড়াও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদ উড্ডয়ন ও অবতরণ নিশ্চিত করতে নিয়ম বহির্ভূত ভবনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
চিঠিতে বলা হয়, উত্তরায় প্রিয়াংকা সিটি হাউজিংয়ের ১ নম্বর রোডের প্লট নম্বর ৯, ১৩, ২৬, ৩০ এবং ৩৬ এবং রোড নম্বর ৩ এর ৫১ নম্বর প্লটগুলো ওএলএস (অবস্ট্রাকল লিমিটেশন সার্ফেস) এর অনুযায়ী প্রাপ্য উচ্চতার চেয়ে বেশি উচ্চতায় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওএলএস বলতে প্লেন ওঠানামার আশপাশের স্থাপনা সংক্রান্ত নির্দেশনাকে বুঝায়।
ভবনগুলোর মধ্যে ১ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর প্লটটি ৩৫ ফুটের (৩ তলা) অনুমোদন পেয়ে ৮০ (৭ তলা), ৯ নম্বর প্লট ৩৬ ফুটের (৩ তলা) অনুমোদন পেয়ে ৮০ ফুট (৭ তলা), ১৩ নম্বর প্লটটি ৪৬ ফুটের (৪ তলা) অনুমোদন পেয়ে ৯০ ফুট (৮ তলা), ১৩ নম্বর প্লট ৪৪ ফুটের অনুমোদন নিয়ে ৯০ ফুট, প্লট নম্বর ৩৬ মাত্র ৫৬ ফুট (৫ তলা) এর অনুমোদন পেয়ে ৯০ ফুট (৮ তলা) ভবন নির্মাণ করছে। এছাড়াও ৩ নম্বর রোডের ৫১ নম্বর প্লটটি ৭৩ ফুট (৬ তলার) অনুমোদন পেয়ে ১১০ ফুট (১০ তলা) ভবন নির্মাণ করছে। এর মধ্যে ৩০ নম্বর প্লটের ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
বেবিচক জানায়, বেবিচক ইতোমধ্যে তাদের ভবনগুলো ভেঙে ফেলতে বলেছে। যদি তারা উদ্যোগ না নেয় তবে বিকল্প ব্যবস্থায় ভবন অপসরণ করা হবে।