দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের কারণে বন্ধ হতে বসেছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত গাড়ি সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রগতির কাছে পাওনা তিন কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার ১২০ টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন এস আর ট্রাক্টর লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল হুদা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রগতির কাছে বকেয়া পাওনা পেতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শামসুল হুদা বলেন, দুর্নীতিও অনিয়মে ভরে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। যার ফলে সুন্দর প্রতিষ্ঠানটি এখন ধুঁকে ধুঁকে বন্ধ হতে বসেছে। কিছু অসৎ কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের যোগসাজসে প্রতিষ্ঠানের এই অবস্থা। ভুয়া টেন্ডারিং, ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। নিম্নমানের চেসিস আমদানি করা।
তিনি বলেন,গাড়ি সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতির কাছে তিন কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার ১২০ টাকা আমি বুঝে না পেয়ে বৃদ্ধ বয়সে আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি এই পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লি. কে লিখিত ভাবে জানানো, উকিল নোটিশ পাঠানো এবং পত্রিকায় মানবিক আবেদন প্রকাশ করছি। তারপরও আমার পাওনা পরিশোধ বিষয়ে কোরো সাড়া দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি বলেন, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শুরু থেকেই আমি অন্যতম এজেন্ট ও ডিলার হিসেবে সুনমের সঙ্গে কাজ করে আসছি। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়ে এবং বন্ধের উপক্রম হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি দেনা পরিশোধ ও ট্যাক্স সমন্বয় করতে ব্যর্থ হয়ে লে-অফ হওয়ার পথে ছিলো। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক এবং বিদেশি মুদ্রার অপচয় ঠেকাতে আমি আন্তরিক ভাবে কাজ করছি।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ ইং থেকে ২০০৬ ইং পর্যন্ত বিআরটিসিতে মিনিবাস, বাস ও ট্রাক মিলিয়ে মোট ৫৪৭টি গাড়ি বিক্রয় করে প্রগতি । বিক্রয়কালীন সময়ে উল্লেখিত গাড়ি সমুহের কার্যাদেশ প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের লি. এর পক্ষে সংগ্রহ করা , ডেলিভারি/রিসিভ করা এবং সার্ভিস ওয়রেন্টির জন্য নির্দিষ্টহারে কমিশন নির্ধারিত হয়। সকল দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করলেও তার প্রাপ্ত কমিশন আজও বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। সব মিলে প্রগতির কাছে আমার পাওনা তিন কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার ১২০ টাকা। বৃদ্ধ বয়সে আমি খুব মানবেতন জীবন যাপন করছি। আমি আমার পাওনা চাই।