ঢাকা,   শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

থেমেছে সংঘাত, কাটবে তো শিশু মনের আঘাত

রুমান হাফিজ,ঢাকা

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

থেমেছে সংঘাত, কাটবে তো শিশু মনের আঘাত

ছবি: ইউনিসেফ

১৯ জুলাই শুক্রবার। জুমার নামাজ শেষ করে বাসায় ফিরেন ঢাকার বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা ফরমান হোসেন। জামা বদলাতে না বদলাতে শুনতে পান হট্টগোলের শব্দ। কী হচ্ছে দেখতে তিন তলার গ্লাসের বারান্দা দিয়ে তাকাচ্ছিলেন। আচমকা গুলি এসে লাগে তার মাথায়। মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন মেঝেতে। রক্তে ভেসে যায় পুরো রুম। ঘরের অন্য সদস্যদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে পুরো ভবন। তৎক্ষণাৎ রিকশায় করে নেওয়া হয় পাশের ফরাজি হাসপাতালে। ভাগ্য আর সহায় হয়ে ওঠেনি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসা শুরুর আগেই তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর সংবাদ বাসায় পৌঁছালে কান্না-আহাজারিতে প্রকম্পিত হতে থাকে। বিশেষ করে ছোট্ট মেয়ে মুনতাহা বারবার মূর্ছা যাচ্ছিল। সে পাশের আইডিয়াল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবার কথা মনে পড়লেই বুক ফেটে কান্না আসে মুনতাহার। বড্ড আনমনে হয়ে যায়। মা জানিয়েছেন পড়াশোনায় আগের মতো মনোযোগ দিতে পারেন না মুনতাহা। বারান্দায় যেতে এখনো ভয় পায়। তিনি বলেন, মুনতাহার আব্বু তো আন্দোলনেও যাননি। বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন শুধু। তবুও গুলি করে মারলো। তিনি ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। একেবারে অসহায় হয়ে গেলাম। এখনো গ্লাস ফেটে গুলি ঢুকার চিহ্ন আছে। দেখলেই বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে। দুঃসহ স্মৃতি মনের পড়ে। ভয় হয়,এই বুঝি গুলি এসে লাগে। আমার ভেতরে ভয়, ছোট মেয়েটার ভয় কীভাবে দূর করি?

শুধু কি মুনতাহার বাবা? জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা সংগঠিত সহিংসতার শিকার অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ। কারও জীবন কেড়ে নেয় গুলি, কেউবা হারিয়েছেন পা কিংবা চোখ। তবে এই সহিংসতার দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব ফেলেছে কোমলমতি শিশুদের মনের ওপর। যেটা বাইরে থেকে দেখা যায় না।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতা কেবল রাজধানী কিংবা আশেপাশে হয়েছে তা কিন্তু নয়। কমবেশি সারাদেশেই ছিল এই সহিংসতা। সিলেট শহরের মদিনা মার্কেট এলাকায় থাকেন ফাহিমা বেগম। সঙ্গে দুই মেয়ে। একজন অষ্টম আরেকজন তৃতীয় শ্রেণীতে। স্বামী দেশের বাইরে থাকেন। দিনরাত গোলাগুলি আর মানুষের চিৎকারের শব্দ শুনতে হতো তাদের। ঘরে থেকেই ফাহিমা দেখেছেন, আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা, নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, ধাওয়া কিংবা আহতদের নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। যেন এক যুদ্ধক্ষেত্রে বসবাস করছিলেন। 

এদিকে যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে হলো পাশাপাশি কারফিউ ঘোষণা করে সেনা মোতায়েন করা হলো, তখন ফাহিমা আরও অসহায় হয়ে পড়েন। বিশেষ করে দেশের বাইরে থাকা স্বামীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেশে কী হচ্ছে কিছুই জানতে পারছিলেন না। পারছিলেন না বাসার বাইরে বের হতেও। সেসময় দুই মেয়েই খেতে চাইতো না কিছু। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারতো না। ফাহিমা বলেন, কারফিউ চলাকালীন সময়গুলো ছিল বেশি ভয়ংকর। কীভাবে যে কেটেছে সময় বলে বোঝানো কঠিন। এখনও মনে পড়লে গা শিউরে ওঠে।

জীবনে প্রথম এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া ফাহিমা বলেন, এমন পরিস্থিতি আমার জন্য এবং মেয়েদের জন্যও প্রথম। আন্দোলনে সহিংসতার সময় বড় মেয়ে ভয় কম পেলেও ছোট মেয়েটা সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকত। রাস্তার পাশে বাসা হওয়াতে সবকিছু দেখা ও শোনা যাচ্ছিলো। ৩ আগস্ট বিকেলে টানা কয়েক ঘণ্টা চলছিলো গুলাগুলি। দিনের বেলায় চারদিক ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেসময় শুধু ছোট মেয়েই নয়, সবাই ভয়ে ছিলাম। ছোট মেয়ে তো একবার জিজ্ঞেস করেই বসলো, এতো গুলি কেনো করছে? সবাইকে মেরে ফেলবে?

জুলাই-আগস্ট এর ভয়ংকর মুহূর্ত এখন নেই ঠিক, তবে শিশুদের মনোজগতের ওপর সহিংসতার যে ছাপ পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে আরও সময় লাগবে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, এসময় একসঙ্গে থাকাটা খুব জরুরি। দীর্ঘ সময় শিশু যেন অভিভাবকের কাছ থেকে দূরে না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শিশুর কাছ থেকে পরিস্থিতি লুকানোর কিছু নেই। তার মতো করে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে হবে। আর অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের জন্য— তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, যতটা সম্ভব অভিভাবককে তার কাছে থাকতে হবে। সন্তানকে একা রাখা যাবে না। শিশু যেন নিজে নিরাপদ বোধ করে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শিশুরা কী পরিমাণ ভয়ে ছিল, তার সত্যতা মেলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের চাইল্ড হেল্পলাইনে আসা ফোনকলের সংখ্যায়।
চাইল্ড হেল্পলাইনের তথ্য বলছে, স্বাভাবিক সময়ে চাইল্ড হেল্পলাইনে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ শোর মতো ফোন আসে। সেই জায়গায় গত ১৯ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ১৭ দিনে কল আসে ৬২ হাজার ৪৮৪টি। এই কয়দিনে এত ফোনকল কেবল কোভিড মহামারির সময় ছাড়া আর আসেনি।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মূলত ১৯ জুলাই থেকে ফোনকল বাড়তে থাকে। ৪ আগস্ট ছিল সর্বোচ্চ, ৪ হাজার ৬০০ টি।
 
জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ এর দেওয়া তথ্যমতে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনের সময় ৬৫ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১৭ আগস্ট শুক্রবার ইউনিসেফের বরাত দিয়ে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতাবিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি নাজাত মাল্লা মজিদ।
আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে দেখা যায়, নিহত শিশুদেরে বয়স ৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।আবার তাদের বেশিরভাগই মারা যান নিজ ঘরে। কেউ ছাদে দাড়িয়েছিলো,কেউবা বারান্দায়। বাবার কোলের মতো নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেও প্রাণ হারাতে হয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জের ছোট্ট শিশু রিয়া গোপের কথাই ধরা যাক। যার বয়স হয়েছিল ৬ বছর। সবে স্কুলে যেতে শুরু করেছিল। পুতুলের মতো মেয়েটি ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়ামাটি এলাকায় বাড়ির ছাদে খেলছিল। গোলাগুলি শুরু হলে বাবা তাকে কোলে নেন। হঠাৎ একটি গুলি এসে লাগে রিয়ার মাথায়। ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ জুলাই নিভে যায় রিয়ার জীবনপ্রদীপ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেওয়া ১৬ বছরের ইফাত ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে নিহত হয়। তাকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে বুকের বাঁ পাশে গুলি করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। ইফাত নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার মা কামরুন নাহার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। সে রাস্তায় পড়ে থাকা আহত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। তবু তার বুকে গুলি করা হলো।’

এদিকে কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে সহিংসতার সময় সারাদেশে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, সেসময় পুলিশের গুলিতে আহতদের মধ্যে চারশোর বেশি ব্যক্তি তাদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। গত ২৯ আগস্ট ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এসব তথ্য দেন তিনি।
 
তবে ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সারাদেশে সংঘাত-সহিংসতায় ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে সরকার গঠিত কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরি করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)।

প্রতিবেদনে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৬২২। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এটি একটি প্রাথমিক বা খসড়া তালিকা। এখন তথ্য-উপাত্ত শুদ্ধকরণের (ডেটা ক্লিনিং) কাজ চলছে। এই তালিকা ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হবে। তখন আরও কিছু নাম হয়তো যোগ হবে। মৃত্যুর সংখ্যাতেও পরিবর্তন আসবে।
জাতিসংঘের একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে হাসিনার পদত্যাগের পরপরই অস্থিরতা এবং অস্থিরতায় ৬০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হতে পারে। নিহত ব্যক্তিরা মূলত ছাত্র বিক্ষোভকারী এবং পথচারী কিন্তু সাংবাদিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও ছিলেন। প্রতিবেদনে বেশির ভাগ হত্যা ও আহতের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী ও ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় সব শিশুই নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মারা গিয়েছিল, বেশির ভাগই পুলিশ।’

সংঘাত থেমেছে, স্কুলও খুলেছে। শিশুদের মনে যে ভয় ঢুকেছে তা কি কেটেছে? এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. রুমানা আক্তার। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে সবার অংশগ্রহণ ছিল। বিশেষ করে অনেক শিশু-কিশোরদের। তাদের এ আন্দোলনে যুক্ত হতে বেশি উদ্বুদ্ধ করেছে উদ্ভূত পরিস্থিতির পাশাপাশি সমবয়সি ও বড় ভাই বোনরা। এর বাইরেও অনেক ছিন্নমূল শিশু-কিশোর যাদেরকে আমরা পথ শিশু বলি তারাও অংশগ্রহণ করেছে। সবার ওপরই কমবেশি প্রভাব আছে তবে যারা আহত হয়েছে কিংবা যাদের পরিবারের লোকজন মারা গিয়েছে তাদের ওপর বেশী প্রভাব পড়বে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিতে হবে। এ সাপোর্টটা সবসময় চালিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়েও প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিয়ে যেতে হবে। আর ছিন্নমূল শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিওকে এগিয়ে আসতে হবে। না হয় দীর্ঘমেয়াদে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

শিশুদের ট্রমা কাটাতে বাবা-মা, পরিবারসহ বিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে মনে করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন। তার মতে, এই ঘটনাগুলো যেসব পরিবারের মধ্যে ঘটেছে, তারা এখন নিজেরা নিজেদের নতুন করে চিনছেন। যে সন্তান হয়তো কীটপতঙ্গ দেখে ভয় পেতো, সে বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। সেখান থেকে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সময়টাতে আমাদের প্রত্যেকের সতর্ক থাকা জরুরি। তার জীবনাচরণের যে পরিবর্তন, সেগুলো চিহ্নিত করে কাউন্সেলিংয়ের মধ্যে আসতে হবে। পরিবারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সমাজে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে। এজন্য শিক্ষকসহ অভিভাবকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাকে তার বন্ধুর জন্য, সহপাঠীর জন্য শোক প্রকাশ করতে দিতে হবে। তার মতো করে সময় কাটাতে দিতে হবে।

যেহেতু স্কুলেই বেশি সময় কাটায় শিশুরা, তাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে শ্রেণিকক্ষকে আনন্দময় করে তুলতে হবে বলেও মনে করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এই অধ্যাপক। বলেন, অভিভাবক বা স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের বলতে পারবে না-ভালো ফলাফল করতে হবে, স্কুল বন্ধ ছিল তাই বেশি করে পড়তে হবে, জিপিএ ফাইভ পেতে হবে। মনে রাখতে হবে, শিশুরা এমনিতেই পাহাড়সম চাপ নিয়ে আছে। তাদের কোনও অবস্থাতেই আরও চাপের মধ্যে ফেলা যাবে না।

এ ছাড়াও শিশুদের ঘুমের রুটিন যেন ঠিক থাকে, মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের বাইরে যেন তারা থাকে, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সুযোগ থাকলে বাগান করতে দেওয়া, মাঠে খেলতে যেতে বলা, পোষা প্রাণী থাকলে তার সঙ্গে সময় কাটাতে দেওয়া, পরিবারের বয়স্কদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর দিকে জোর দেন সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন।

সর্বশেষ

Advertisement

সর্বাধিক জনপ্রিয়