বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে হাতে অবৈধ অস্ত্র। গণম্যধমে খবর এসেছে এখনও লাইসেন্স বাতিল হওয়া ১৮৮৮ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। এগুলো এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য জেলায়ও এ অস্ত্র ব্যবহারের খবর পাচ্ছি। কেন এ অস্ত্র এখনও উদ্ধার করতে পারেনি অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের চক আকাশ তারা গ্রামে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয় গণভবন থেকে এসএসএফের অনেক আধুনিক অস্ত্র খোয়া গেছে। এগুলো উদ্ধার করতে না পারলে জনগণ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে না।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বগুড়ায় নিহত কমর উদ্দিন খান, শাকিল হোসেন ও জিল্লুর রহমানের পরিবারের হাতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে এ অনুদান দেওয়া হয়।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা লাখ লাখ কোটি কালো টাকা নিয়ে বসে আছে। দেশের নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমে এসেছে বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ১৮.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋন নিয়েছে এর মধ্যে ১৭.৬০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। তাহলে উন্নয়নটা হলো কোথায়? বাকি টাকা আছে আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে, যুবলীগ, ছাত্রলীগের হাতে, তাদের ব্যবসায়ীদের হাতে। এ টাকা সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে যা আমরা দেখলাম গোপালগঞ্জে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে শুনলাম শেখ হাসিনা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছেন। তিনি দেশে আসার প্রস্ততি নিচ্ছেন। আর খবর পেয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আবারও রক্তাক্ত পথ বেছে নিয়েছে। যা আমরা গোপালগঞ্জে দেখতে পেয়েছি। শেখ হাসিনা যদি দেশে ফিরেন তাহলে আরও শিশুর রক্ত ঝড়বে, আরও গণহত্যা হবে। আর তার প্রভুরাতো বসে আছেন বাংলাদেশে অর্ন্তঘাত সৃষ্টির জন্য।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সংগঠনের আহবায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জমান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জাসাস নেতা জাহেদুল আলম হিটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার।