অল্প কয়েকদিন নয়, দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সব সংস্কার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করবে না। নির্বাচিত সরকারকে বেশকিছু সংস্কার করতে হবে। নির্বাচিত সরকার কি ধরনের সংস্কার করবে, তা নির্বাচনের আগেই দলগুলোকে জানাতে হবে। সক্রিয়, বিরোধী দল, সাংবাদিক সবার দায়বদ্ধতা থাকবে জনগণের কাছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তাদের উপর অর্পিত যতটুকু দায়িত্ব পালন করবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের সময় সমাজের সব শ্রেণির মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। লেখক সাংবাদিকরা তাদের লেখা লিখতে পারেননি, বাক স্বাধীনতা ছিল না। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এটি থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে সমাজের সবাই অংশগ্রহণ করছেন। দীর্ঘদিনের আন্দোলন সফলতা এসেছে জুলাই-আগস্টে সংগ্রামের মাধ্যমে, ছাত্র জনতার যে কারণে আন্দোলন করছে তা বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে ।
সব সংস্কারই অন্তর্বর্তী সরকারকে করতে হবে কেন এমন প্রশ্ন তুলে নজরুল ইসলাম বলেন, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার পরিচালিত হওয়া উচিত। নির্বাচিত সরকার কী কী সংস্কার করবে তা নির্বাচনের আগে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে, যাতে করে জনগণ ভোটের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংবিধানের তিন ভাগেরও এক ভাগের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না। এটা হয় না। এমন অনেক কিছুই পরিবর্তনের দরকার হতে পারে যে সবকে সংবিধানে অপরিবর্তনীয় বলা হয়েছে। তাই সব ক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন।
স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, বিগত সময়ে বাংলাদেশের কিছু মানুষ ছাড়া সবাই বৈষম্যের শিকার ছিলেন। সবাই সব ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। আর তা থেকে মুক্তি পেতে সবাই আন্দোলন করেছে। গত ১৫ বছরে যারা গুম, খুন, হত্যার শিকার হয়েছে সবাই এই আন্দোলনের অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।