বন্যার্তদের সাহায্যে ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির পাশাপাশি সাধারণ মানুষও দলের ত্রাণ তহবিলে সহায়তা করেছেন। যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে আমরা রিসিভ দিয়েছি। আর দল থেকে বহিষ্কৃত যেসব নেতারা ত্রাণ তহবিলে টাকা দিয়েছিলেন, এই রকম তিনজনকে তাদের ৩০ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ ৫টি জেলায় ১৩৭ জন শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের তথ্যাদি আমাদের কাছে রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব এলাকায় যারা আহত হয়েছেন তাদেরকেও আর্থিক সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর বিএনপির ত্রাণ তহবিলে এখনো ৭ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এগুলো বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে।
ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও রাজনৈতিক দল হিসেবে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সারাদেশে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছে, মানুষের পাশে থেকেছে। বন্যা পরবর্তিতে বিভিন্ন এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্পও পরিচালনা করা হচ্ছে। মেডিকেল ক্যাম্পগুলো স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। আর বন্যার কারণে মানুষের ফসলাদি ভেসে গিয়েছে, সেসব এলাকায় ধানের চারাসহ কৃষি বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় যাদের ঘর-বাড়ি ভেসে গিয়েছে তাদের টিন এবং ঘরের কিছু সামগ্রী বিতরণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
শিশুদের মধ্যে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণেও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে বিএনপির দুজন কর্মী বন্যায় ভেসে গিয়েছে বলেও দাবি করেন ডা. জাহিদ।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত নগদ ২০ কোটি টাকার অধিক বিএনপির ত্রাণ কমিটি আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এই ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি এবং হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন বন্যা অঞ্চলে। বিএনপির পাশাপাশি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক এবং ছাত্রদলসহ দলের অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনগুলোও বিভিন্ন বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।