৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিরা এখন কোথায় আছেন এবং তাদের কারা পালাতে সাহায্য করেছে, তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন প্রশ্ন তোলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পক্ষে সব প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সকল সংস্কার সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন একটি গণতান্ত্রিক সরকার।
ভারতে বসে শেখ হাসিনা এখনো ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে পোশাক কারখানায় কারা অস্থিরতা করছে তাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার তাগিদ দেন সেলিমা রহমান।
সেলিমা রহমান বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। কারণ বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারের আতঙ্ক ছিল।
গুমের শিকার ব্যক্তিরা আয়না ঘরের মানসিক অত্যাচারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেত্রী।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমাদের সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে দানবীয় সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বলেই আজ দেশ স্বাধীন।
সেলিমা রহমান বলেন, মসজিদ, মন্দির সব জায়গায় দলীয়করণ ছিল। সব জায়গায় শুধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দনা হতো। সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। কোথাও গণতন্ত্র নেই।