পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দমন করা উচিত মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, পাহাড়ের বিষয়ে আগাগোড়া না জেনেই অনেকে এখানে মাঠে নামছেন, যা অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘দুঃসময়ের কণ্ঠস্বর : স্বপ্ন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
মাইনরিটিকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে মন্তব্য করে নুর প্রশ্ন রেখে বলেন, হিন্দু- বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কাদের দোকান?
নুর বলেন, রিজওয়ানা আপা বলেছেন, আয়নাঘর থাকবে না। কিন্তু পরবর্তী সরকার এলে আয়নাঘর থাকবে কি না, সেটা আমরা জানি না। তবে অত্যাচার নির্যাতন কেবল গত ১৫ বছরে হয়েছে, তা নয়। আগেও হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মৌলিক কাঠামোয় পরিবর্তন না এলে যে লাউ সে কদু থেকে যাবে। শুধু প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনলেই কী সব শেষ হয়ে যাবে? সংসদ ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, আগের ক্ষমতাসীন দলগুলোর মধ্যে খুব একটা তফাৎ ছিল না। দুর্নীতি-দুঃশাসন প্রায় একই ছিল। এবার আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি। সংস্কারের জন্য যতদিন প্রয়োজন হয়, ততদিন এ সরকার থাকবে। তাদের সে সময় দিতে হবে। তবে আমরা অবশ্যই এ সরকারের সমালোচনা করব’, যোগ করেন তিনি।
নূর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো হবে সরকারের অংশীজন। কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো ওপেন আলোচনা নেই। এখন পর্যন্ত ফরমাল ডিসকাশন নেই। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সরকারকে জাতীয় সরকারে রূপ দেয়া উচিত।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘অনেকে বলেন চট্টগ্রাম সমিতি, এনজিও সমিতি। কেন এ সরকারকে ইনক্লুসিভ রূপ দেয়া হলো না? শুধু কয়েকজন সমন্বয়কের কথায় একটা সরকার হয়ে যাবে? এখনো এ সরকারের ভিত্তি দুর্বল। অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আমার সন্তানদের মানসিক ট্রমায় রাখা হয়। আমার বড় ছেলে এখনো পুলিশ দেখলে ভয় পায়।
পাহাড় অশান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করছে আগের বেনিফেশিয়ারিরা। পাহাড়ের বিষয়ে আগাগোড়া না জেনেই অনেকে এখানে মাঠে নামছে, যা অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দমন করতে হবে।