অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, এখনো সময় চলে যায়নি।নির্বাচনের সঠিক তারিখ নির্ধারণ করুন। অনেকেই বাহানা করে আপনাকে বুঝাতে পারে, সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। কিন্তু সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করুন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন যেখানে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসবেন। সংসদে যাবেন। অভিজ্ঞ মানুষ দ্বারা দেশ পরিচালিত হবে। সেই সংসদে সংবিধান পরিবর্তন, পরিবর্ধন হবে এটাই তো জনগণের চাওয়া আপনার কাছে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, জনগণের মনের আশা পূর্ণ করার জন্যই তো আজকের এই অন্তর্বর্তনকালীন সরকার। সেটা কি পূরণ হচ্ছে? সংস্কারের নামে যদি আবার বিলম্ব হয়। সংস্কারের নামে যদি আবার আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এসে বসে যায়। তাহলে তো আমাদেরকে আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমরা আর রাস্তায় নামতে চাই না। আমরা মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। আমরা মানুষকে গণতন্ত্র ফেরত দিতে চাই। আমরা শেখ মুজিবর এর আর কল্লা ব্যবহার করতে চাই না। আমরা শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের বাংলাদেশের ক্ষমতায় দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের বেলায় মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ চলে যায় বাসায় আর এখন আওয়ামী লীগের গ্রেফতারকৃত আসামিরা কেন জামিন পায় জনগণ তা জানতে চায়? এখন মামলা হলে পুলিশ বলে তদন্ত করে দেখব মামলা সঠিক কিনা? কোথায় হারুন ? কোথায় বিপ্লব? যারা বিএনপির অফিসকে তছনছ করেছে। নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করেছে এখন কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কেন এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের টিভি মিডিয়ার সামনে বসতে দেওয়া হচ্ছে? কেন চিনি, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বাড়ছে মানুষ তা জানতে চায়? এইসব প্রশ্ন শোনার জন্য তো দেশের জনগণ ড. ইউনুস আপনাকে সম্মান দেয় নাই। আপনাকে গদিতে বসানো হয়েছে বাংলাদেশে যারা আওয়ামী লীগের মতো ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে যারা ধ্বংস করেছে। যারা হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে। আয়না ঘর তৈরি করেছে। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্যই আপনাকে বসানো হয়েছে। সংস্কারের নামে কেন দেরি হচ্ছে। সংস্কারও চলবে গ্রেপ্তারাও চলবে। শেখ হাসিনাকে আনার ব্যবস্থাও করতে হবে।
বিএনপির সাবেক এই সংসদ বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের নামে, শেখ হাসিনার নামে, শেখ মুজিবর এর নামে, অনেকগুলো নামকরণ করা হয়েছে। এগুলো বাতিল করতে হবে না। অবিলম্বে যারা আত্মহতি দিয়েছে ছাত্রসমাজ তাদের নামকরণ করতে হবে।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএটি/আরএইচ