বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার বসে নেই। গতকাল প্রতিবেশী দেশের একটা স্টেটমেন্ট দেখছেন তারা স্পষ্ট ভাষায় বলছে শেখ হাসিনা সেখানে আছে। ভারতের সাথে তো আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ান জারি হলে কূটনৈতিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে প্রত্যর্পণ বিষয়টি সমাধান করতে পারে তাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। আর তা না হলে বাংলাদেশে যতো শীর্ষ সন্ত্রাসী আছে তারা সেখানে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ নিবে। বিভিন্ন দেশে এভাবে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসনিা সর্বশ্রেষ্ঠ শীর্ষ সন্ত্রাসী, খুনি। যে শিশুর রক্ত পান করতে পারে তার মতো শীর্ষ সন্ত্রাসী আর কে হতে পারে। তাকে আশ্রয় দেওয়া মানে অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া । অন্যায়কে আশ্রয় দেওয়া, খুনীকে আশ্রয় দেওয়া। গতকাল তাদের বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে তারা বিগ ব্রাদারের মতো আচরণ করেছে। সেখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসক কথা বলেন।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, এখনও স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত হতে পারছি না। গতকাল হঠাৎ করে ৫০-৬০টি জেলায় বিদ্যুৎ শাট ডাউন করা হয়েছে। এরা কারা? আমরা কিন্তু প্রায় দিনই বলেছি স্বৈরাচারের দোসররা ভিতরে আছে এরা কিন্তু নাশকতা করবে। গতকাল সে ঘটনা ঘটিয়েছে এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা কিন্ত কয়েকবার বলেছি। তাদের দাবি দাওয়া থাকলে সরকারের কাছে আবেদন নিবেদন করতে পারতো। কিন্তু তারা তা না করে গতকাল শাটডাউন করলো কেন? করাণ এটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ, এটি নাশকতা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিএনপি নেতা আহ্বান জানিয়ে বলেন, হঠাৎ আপনারা আনুপাতিক ভোটের নির্বাচনকে সামনে এন জটিলতা তৈরি করবেন না। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের নামে জটিলতা তৈরি মানে, স্বাধীনতাবিরোধীদের মদদ দেওয়া, আপনারা সুপরিকল্পিতভাবে কোনো জটিলতা তৈরি করবেন না। পৃথিবীর অনেক দেশ এ পদ্ধতি চালু করে ফিরে এসেছে।
নেপাল চালু করেছিল, এলোমেলো হয়ে গেছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটা নতুন পদ্ধতি তৈরি করতে হলে সমাজ এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার মিল থাকতে হবে। সুশীল সমাজ এটার ওপর বক্তব্য রাখছেন, আর এটার ওপর ভিত্তি করে আপনারা যদি মনে করেন এটা সঠিক, তাহলে নির্বাচন ব্যবস্থা আরো ভেঙে যাবে। এখন এই আনুপাতিক পদ্ধতিটা বুঝতেই চলে যাবে ৫-১০ বছর।
রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রত্যেকটা দল সমর্থন করেছে। এটা গণতন্ত্রকামী মানুষের সমর্থিত সরকার, আপনাদেরকে জনগণের অন্তরের ভাষাটা আগে বুঝতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. শামীম, ডা.কাকনসহ নেতৃবৃন্দ।
এসএটি/আরএইচ