ইমার্জিং এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
টানা দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল আফগানরা। অন্যদিকে সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশকে পরবর্তী ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
শেষ দুই ওভারে আফগানদের জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৬ রানের। ১৯তম ওভারে ১০ রান নিয়ে ব্যবধান কমিয়ে আনে তারা। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ৬ রান নিতে মাত্র ১ বল ব্যবহার করেছেন সিদ্দিকুল্লাহ। আবু হায়দারের প্রথম বলে ছক্কায় উড়িয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। শটটি খেলে নিশ্চিতভাবেই আফসোস করেছেন তিনি! বাংলাদেশ আরও কিছু রান করলে তার সেঞ্চুরিটা হতেই পারতো।
হংকংয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলদেশ ‘এ’ দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৪ রান তুলেছে আকবর আলীর দল। স্কোর বোর্ডে যথেষ্ট রান ছিল। কিন্তু সিদ্দিকুল্লাহর কাছে মূলত ম্যাচটা হেরে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। সিদ্দিকুল্লাহ বাদে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ১৯। শহীদুল্লাহর ব্যাট থেকে এই রান আসে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রিপন মন্ডল ও আলিস আল ইসলাম সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া আবু হায়দার ও শামীম হোসেন প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।
এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই হারায় ওপেনার জিসান আলমকে (৪)। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমন ও সাইফ হাসান মিলে যোগ করেন ৫৬ রান। এই জুটির ওপর দাঁড়িয়ে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। পারভেজ ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। স্কোর বোর্ডে ২ রান যোগ হতেই এরপর ফেরেন সাইফ হাসান (১৬)। এক ওভার পর অধিনায়ক আকবর আলী সাজঘরে ফেরন মাত্র ৪ রানে।
তবে পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ হৃদয় ও শামীম হোসেনের ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে। শামীম ২৪ বলে ৩৮ এবং তাওহীদ ৩১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বোলারদের মধ্যে বিলাল সামী, কাইস আহমেদ, করিম জানাত ও শরফুদ্দিন আশরাফ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এসএটি/আরএইচ